DBC News: GrowUp প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের পাশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে ROSA

DBC News: GrowUp প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের পাশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে ROSA

মূল নিউজঃ DBC News

এনজিও রোসা ১৯৯২ সাল থেকে গ্রামীণ মানুষের আর্থিক বন্ধু হিসেবে সেবা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে আধুনিক কৃষিভিত্তিক GrowUp প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের পাশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে এনজিও ROSA।

পুজি স্বল্পতার কারণে বীজ থেকে শুরু করে কৃষি সরঞ্জামাদি, কীটনাশকনসহ নানা ক্ষেত্রেই বাধার সম্মুখীন হতে হয় কৃষককে। ব্যাংক ঋণ নেওয়ার মতো দলিলিজ্ঞান ও কাগজপত্র সক্ষমতা তাদের নেই, তাই মহাজনীয় প্রথায় ঠকতে ঠকতে লাভের কিছুই আর ঘরে নিতে পারে না। বঞ্চিত এমন সামাজিক প্রেক্ষাপটের কৃষকের সন্তান আর কৃষক হতে চায় না এছাড়াও রয়েছে মধ্যস্থ ভোগীদের কারসাজি কারণ কৃষকের পক্ষে ফসল নিয়ে শহরে এসে কিংবা সরাসরি ভোক্তার নিকট বিক্রয় করা সম্ভব হয় না, এক্ষেত্রে ব্যাপারীদের কাছে কৃষক ফসল বিক্রি করতে বাধ্য থাকে।

এসব বেপারী একজোট হয়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়, বিধায় কৃষকগণ কমদামেই পণ্য বিক্রি করতে হয়। তাই মধ্যস্থ ব্যাপারীদেরকে পিছিয়ে ফেলে আপনি- আমি কৃষকের কৃষিতে যদি পাশে থাকতে পারি তাহলে কৃষিতে বিপ্লব আসবেই, সাথে আপনার মুনাফা বুঝে নিতে পারবেন হালাল উপায়ে। আপনার কষ্টার্জিত অর্থের সুরক্ষা, শরিয়াহ ভিত্তিক মুরাবাহা চুক্তি মাধ্যমে নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর, তাই এখন নিশ্চিন্তে, বিনিয়োগ হোক কৃষিতে, GrowUp এর সাথে।

নাটোর কলসনগরের, স্বামী পরিত্যক্তা রহিমা খাতুন তার তিন সন্তান নিয়ে নিদারুণ কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছিলেন। একমাত্র সম্বল গরুটি ও বিক্রি করে দিতে হয় তার মেজো মেয়ের অ্যাপেন্ডিস অপারেশন এর সময়। এমন সময় গ্রামের বহু পুরাতন এনজিও সংস্থা ROSA মাধ্যমে GrowUp কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়ে অফিসে আসেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তার সকল বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনার পর রহিমা খাতুনের গরু পালনের পূর্ব অভিজ্ঞতাটি বিশেষ বিবেচনাতে নেয়ার মাধ্যমে তাকে দুটি গরু কিনে দেয় পাশাপাশি মোসাম্মৎ রহিমা খাতুনকে গরু পালনের বিষয়ে নতুন নতুন কিছু পরামর্শ দেন। মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন বলেন, "আমি যখন একবেলা আধা পেটা খেয়ে দিন পার করছিলাম GrowUp আমাকে দুটি গরু কিনে দেয় তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং আমার গরু গুলার খোরাক ও চিকিৎসা পাতির জন্য ডাক্তারও নিয়ে এসেছে এখন আমার পাঁচটা গরু এর মধ্যে তিনটা বিক্রি করে ঋণশোধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দৈনন্দিন সংগৃহীত দুধ Grow up এর লোক এসে আমার কাছ থেকে নগদ কিনে নিয়ে যায় সংসার আগে থেকে ভালোভাবে চলছে বড় মেয়ে বিয়া দিছি।’ নাটোর জেলার বনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ জাকির হোসেন ২০০ /৩০০ টাকা মুরগি পালন করতেন GrowUp থেকে এক হাজার মুরগি কিনে দেওয়া হয়েছে মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে। তিনি বলেন, ‘মুই আগে খামারে ২০০ মুরগি পালতাম সেই একই খামারে ১০০০ মুরগী পালি।খরচ খুব একটা বাড়ে নাই তয় আগে থেকে পরিশ্রম বেশি দিয়া লাভ অনেকডি বাড়ছে মুরগি বেশি রাখতাছি তাই খরচ খুব একটা বাড়ে নাইক্কা। সামনে একটা পোলাও রাখমু সাহায্য করার লাইগা। Grow Up রে ধন্যবাদ।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের কানন বলেন, ‘পেঁয়াজের ফলন ভালো হইলেও গ্রাম্য ব্যাপারীরা আমাকে ঠকাইতো। এখন GrowUp আমার কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে মাল নিয়া সরাসরি বাজারে দেয়। আমিও ঠিকঠাক ন্যায্য দাম পাই মানুষও কমে কিনতে পারে।’