বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত একটি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী অংশ হিসেবে বিবেচিত। কৃষি খাতে বিনিয়োগ করা নানাভাবে লাভজনক। কৃষিখাতে বিনিয়োগের ৭টি কারন তুলে ধরা হলো।
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮০% মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত, যা অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ধান, পাট, গম, মাছ, শাকসবজি এবং পোল্ট্রিখাত খাদ্য উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে কৃষি-ভিত্তিক শিল্পের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, এবং রপ্তানিমুখী কৃষি পণ্যের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ অনেক বেশি।
২/ উচ্চ উৎপাদনশীল পরিবেশ
বাংলাদেশের মাটি বেশ উর্বর হওয়ায় এমনিতেই এখানে ফলন বেশি হয়। আধুনিক প্রযুক্তি এবং মেধার সংমিশ্রণে এই ফলন আরো বাড়ানো সম্ভব।
বাংলাদেশের কৃষি খাতে এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। যান্ত্রিকীকরণ, উন্নত সেচ ব্যবস্থা, এবং জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ সরকার কৃষি খাতে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে থাকে। আয়কর ছাড়, ভর্তুকি, এবং অন্যান্য আরো সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশের পাট, চা, সবজি, মাছ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
কৃষি খাতে এখনও তুলনামূলকভাবে কম প্রতিযোগিতা রয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীরা এই খাতে প্রবেশ করে ফসল চাষ, মৎস্য খামার, এবং গবাদি পশু পালনের মতো খাতে সহজে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন। ফলে এই খাতে উচ্চ লাভের সুযোগ তুলনামূলক বেশি।
আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কৃষি খাতে প্রযুক্তিগত বিপ্লব আসতে পারে। ফসলের জিন প্রযুক্তি, যান্ত্রিকীকরণ, এবং উন্নত সেচ ব্যবস্থার ফলে ফসল উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষিজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ আরও বাড়বে এবং রপ্তানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি খাতে বিনিয়োগ করে শুধু ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখা সম্ভব। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির উন্নয়ন, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগের কারণে কৃষিখাত বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।